আমার অহংকার আজ আমার লজ্জা
হে নতশির অশ্রুসিক্ত
জননী, আমায় ক্ষমা করো।
যারে আমি হেলায়
করেছি অপমান
জানি একদিন
হব আমি তাদেরই সমান।
একবিংশ শতাব্দীতে
এসে আজও বলছি
ওরা হিন্দু,
মুসলমান, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান?
মানুষের পরিচয়
আজও হবে তার ধর্ম দিয়ে,
ওরে রহমানের
ঘরে যদি হয় রহমান
চ্যাটার্জির
ঘরে তো জন্মাবেই চ্যাটার্জি
তবে কি জন্মই
আমার আজন্ম পাপ?
ওরে মানুষের
পরিচয় সে শুধুই মানুষ
এক মহান সৃষ্টিকর্তার
শ্রেষ্ঠ সৃষ্টি,
ওরে মানুষ অমৃতের
সন্তান।
লহ মোর শ্রদ্ধাঞ্জলি,
ক্ষমা করো,
ফিরায়োনা বিধাতা
আমায়।
একদিন বাঘের
গর্জনে কেঁপেছিল
এই বাংলার আকাশ,
বাংলার বাতাস,
এদেশের মানুষকে
মুক্ত করেই ছাড়বো ইনশাল্লাহ।
আজ বিদেশি অন্নপুষ্টের
দুর্বল কণ্ঠে শুনি
দ্বিতীয় স্বাধীনতার
লজ্জাকর আস্ফালন।
আমি ভেঙেছি
আমার গর্ব জয়নুল আবেদনের ভাস্কর্য
আমি ধুলায়
লুটিয়েছি আমার গর্ব রবি ঠাকুরের সম্মান
আমি শিক্ষকের
গায়ে তুলেছি হাত
করিনি বিচার
সে পুরুষ কিংবা মহিলা।
সত্তর ঊর্ধ্ব
নারীর অন্তর্বাস নিয়ে করেছি
নির্লজ্জ প্রদর্শন,
মায়ের চুল কেটে পরিয়েছি হিজাব।
আজ আমার বলতে
লজ্জা করে আমি বাঙালি
আজ আমার অহংকার
হয়েছে আমার লজ্জা।