এক সময় মনে হতো এই পৃথিবীটা
আমি শুধরে দেবো
যত নিয়ম ভাঙ্গার নিয়ম আমি
উপড়ে দেবো
সেকি বলগাহীন অন্ধ ঔদ্ধত্ব
তারুণ্যের!
গড়বো নিজের মত করে, যা কিছু
অসুন্দর করব সুন্দর তারে
টলাবো সৃষ্টিকর্তার আসন প্রচন্ড
দম্ভ আর আত্ম গরিমায়।
সেই যে কখনো ভেবেছিলাম, আত্ম
অহংকারে ডুবে ছিলাম
আমার আমার করে জমিয়ে ছিলাম
পৃথিবীর অসার জঞ্জাল।
আর তারই নেশায় বুঁদ হয়ে শক্তির
খেলায় মেতেছিলাম
নিয়েছিলাম, দুহাত ভরে নিয়েছিলাম
এখন জেনেছি হায় সেতো কিছুই
আমার ছিল না ।
এখন আর সেসব ভাবনা মাথায়
আসে না
মনে হয় বাকি দিনগুলো কেটে
গেলেই হয় যএ তএ
না থাকুক তরঙ্গ তাতে, হোক
না সে শান্ত ঝিলের চোখ।
একেই কি বলে বার্ধক্য, নাকি
জ্ঞানের মহা পরিণতি?
ভেবেছি আমার আমিত্ব নিয়ে,
গর্বে, অহংকারে, ভেবেছি,
বছরের পর বছর ভেবেছি, তবু
বুঝিনি
যা কিছু পেয়েছি সবই দহন
দানে, বুঝিনি
কিছুই আমার নয়, কখনোই বুঝিনি।
দুচোখ ভরে করেছি পান স্বর্গের
অমৃতধারা,
না চাইতেই যারে পেয়েছি বিনা
মুল্যে, বিনিময়ে
আমার অক্ষমতা আর সংকীর্ণতার
গরল দিয়েছি ঢেলে,
জানি সব যাবে মহাকালের অন্ধকারে
ধুয়ে, কালের অতল তলে
তৃপ্তি আমার সে যে, গভীর
প্রশান্তি সুনিবিড়।