Friday, August 16, 2024

কিংকর্তব্যবিমূঢ়

 

এখনো শুকায়নি আবু সাঈদের রক্ত রংপুর পার্ক মোড়ের শড়কে

এখনো হয়নি শীতল মুগ্ধর নিস্তেজ দেহটা শহরতলির রাজপথে।

দিকে দিকে ওড়ে শান্তির পতাকা, মসনদে শান্তির দূত

তবু কেন পোড়া গন্ধ ঐ মন্দির চত্বরে

কেন ভাঙল সুহাসিনী কুমারীর জীর্ণ কুটির

কেন আগুনের লেলিহান শিখায় পুড়ল নিরঞ্জন কর্মকারের ঘর?

 

কাল যেখানে কমলিকা দাসের ছোট্ট মেয়েটা পুতুল খেলত

সেখানে তার অগ্নিদদ্ধ লাশ শেয়ালে ছেঁড়ে।

হায়রে দ্বিতীয় স্বাধীনতা আমার এ লজ্জা রাখবো কোথায়?

 

আমার এ স্বাধীনতা রাহুল আনন্দের সহস্র বাদ্যযন্ত্র পোড়ানোর স্বাধীনতা

আমার এ স্বাধীনতা জাতির পিতার আবক্ষ মূর্তিতে জুতোর মালা পরাবার স্বাধীনতা

আমার এ স্বাধীনতা মুক্তিযুদ্ধের সূচিকাগৃহ ধ্বংসের স্বাধীনতা।

 

নির্লজ্জ সাম্প্রদায়িকতা প্রকাশের স্বাধীনতার প্রতিবাদ করে

একজন হয়েছিল নির্বাসিত তসলিমা, আজন্ম পরবাসী

তাই কি রুদ্ধবাক বাংলা, চারিদিকে নির্বাক দর্শক?

 

যে ঋত্বিক ঘটকের বাড়ীটা হতে পারতো জাতীয় জাদুঘর

নির্বোধের আক্রমণে হয়েছে তা আবর্জনা স্তূপ

শকুনের বিচরণ সেখানে, ইঁট কাঠ পাথরের ঘৃণার পাহাড় ।

 

সাত হয়েছে সতেরো, তবু হে মুগ্ধ জননী

এখনো রেখেছ বাঙালি করে মানুষ করনি।

 

অনেক হয়েছে, এবার থামাও তোমার বিজয় উল্লাস

অনেক কষ্টার্জিত মুক্তি, প্রাণের বিনিময় পাওয়া ফসল,

ওঁত পেতে আছে হায়েনা, বন্ধু সাবধান

জয়ের কোঠর থেকে ছিনিও না ব্যর্থতার কদর্য পরাজয়।