হার মানাল পাক
সেনাদের নির্মমতা, ওরে এরা যে তোদেরই বোন
মায়ের সন্তান,
কাকে তুই টানিস কৃষ্ণগহ্বরে? সারা দেশ জুড়ে
গিজগিজ করছে
নর্দমার কীট, তোদের কর্দমাক্ত কালিমায়
যমুনার জল হল
নিকষ কালো, একি অসহ্য অস্থিরতা
দেশজুড়ে নির্মম
পাশবিকতা অসহায় নারীর আর্ত চিৎকার,
দেশটা কি বধির
হয়ে গেল? কোথায় কালাপাহাড়, সব্যসাচী, গোরা?
বঙ্গ মাতার কুসন্তান তোরা, ধিক, ধিক, আমার এই অভিশাপে
জ্বলে পুড়ে
ছারখার হয়ে যাক তোদের নখদন্ত, ঘৃণার কালো পাহাড়
আর কত নামবি
পাতালের অতল তলে?
এবার তোরা মানুষ
হ, মধ্যযুগীয় নৃশংসতার হোক শেষ।
আজ যখন হিংসার
লেলিহান শিখা গ্রাস করেছে সমস্ত সুকুমার বৃত্তি
সব সভ্যতা,
সব ভব্যতার হয়েছে সলিল সমাধি, ওরে বাংলার কবি
তোমার শানিত
ক্ষুরধার লেখনী আবার উঠুক জেগে
নিমজ্জিত কর পাপের পশরা তোমার ভাষাহীন অশ্রুর সাগরে
ফুটুক প্রতিবাদের
ভাষা, নিস্তব্ধতার কুলুপ ছুড়ে ফেলো,
ঘরে ঘরে প্রজ্বলিত
হোক দীপশিখা
আলোয় আলোয়
ভরাও দিগন্ত, এই মিথ্যাচারের হোক শেষ
প্রভু আন শান্তির বাণী, ঘোচাও অশান্তি চিরতরে
উঠুক নতুন সূর্য,
ফুটুক নতুন কুঁড়ি, আসুক নতুন ফুল, মৌমাছির গুঞ্জন
আবার ফুটুক
পদ্ম থোকে থোকে, ঢেকে যাক কাল পাঁক
মন্দিরে বাজুক
পূজার ঘণ্টা, ঘরে ঘরে হোক সুন্দরের আরাধনা।