Prayer is a rude attempt to intervene in God’s Handiwork;
surrender unconditionally and live in Bliss.
নাহি
ভয় পাবে আশ্রয়, পাবে
পরিত্রান।
সেইতো
ঈশ্বর, আর কিসে ভয়?
নাও
তার নাম, সে যে
মহাআশ্রয়।।
আরে
আরে একি কথা?
যাবে
জাহান্নামে নিশ্চিত জেনো
ঈসা
সে তো পয়গম্বর বই
তো নয়!
করো
আল্লাহর ভয়, করো তওবা,
আস্তাগফিরুল্লাহ,
আস্তাগফিরুল্লাহ।।
রাখো
রাখো একি কথা বল
সবে
বুদ্ধই
একমাত্র গতি মনে রেখো।
ভজো
বুদ্ধ, স্মরো বুদ্ধ, বুদ্ধই গতি,বুদ্ধেই ত্রাণ।
করো
বুদ্ধেই মন প্রাণ সমর্পণ,
যদি
চাও সত্যিই পরিত্রান।।
কিইযে
বলো, তোমরা কি গেলেই ভুলে
সর্বধর্মের
মহা ধর্ম সেযে সনাতন
ধর্ম ।
আদি
ও অকৃত্তিম যা আছে আবহমানকাল
সেই
সৃষ্টির শুরু থেকে, মহাশান্তির
বাণী বয়ে
সকল
ধর্মের মাতৃসম, সেই তো আদি
ধর্ম।।
মৃদু
হেসে বলে আমার বন্ধু
বাহাই
তর্ক
করো নাকো ভাই, তর্কে
কি হয় বিশ্বাস?
কি হবে সেই পুরাতন
নথি ঘেঁটে?
একেবারে
তাজা, মাত্র দেড়শ বছর
এটাই
হল সর্বশ্রেষ্ঠ ধর্ম, ভেবে দেখো ভাই।।
আমি
হতভাগা নই বিদ্বান,
শুধু
চেয়ে চেয়ে দেখি,
কুলীন
কুলে জন্ম তাদের, কুলীন
তাদের বংশ
চলে
গির্জায়, মসজিদে, আর মন্দিরে পরমহংস।
আমার
জন্মের নেই ইতিহাস,
কে আমার জনক, কে
বা জননী!
অনেক
ভেবেও পাইনা ভেবে
আমার
কি হবে গতি?
কেমন
করে জানব আমি
আমার
কি হবে ত্রাণ?
একটা
জীবন কাটিয়ে গেলাম
তোমার
সাথে সুরঞ্জনা।
একই
ছাদের নিচে
চারদেয়ালের
ঘেরে।
আজকে
আমায় বলছো তুমি
আমায়
তুমি চিনলে না?
কেমন
করে চিনবে বলো?
সীমার
মাঝে অসীম আমি,
লুকিয়ে
আছো অসীম তুমি।
বাইরে
দিয়ে যায় যা দেখা
নয়
সে আমি নয় সে
তুমি।।
প্রতিদিনের
খেলাঘরে
মান-অভিমান থাক
না ভরে।
কোনটা
আসল কোনটা নকল
হাজার
অনুভূতির মাঝে
জট পাকিয়েই থাক না সেযে।।
হিসেব করে লাভ কি
বল
বড় বড় দুঃখঃ
গুলো্?
একটা
ছোট্ট সুখের স্মৃতি
একটা ছোট্ট মিষ্টি
শপথ,
বুকের
মাঝে জাগিয়ে রেখে
দিই না পাড়ি
বাকিটা পথ?
আমেরিকাতে কেউ বুড়ো হয় না
তা হোক না ৬০ কিম্বা ৭০।
চুলে রং, বোটক্স, আর ফেসলিফটে
এ দেশ চিরযৌবনা আর চিরসতেজ।।
এখানে ৪০ হলেই বয়সটা থমকে দাঁড়ায়
ঘড়ির কাঁটা পেছনে দৌড়ায়।
প্রথম কয়েকটা বছর থমকে থাকে
তারপর দ্রুত গতিতে পিছনে গড়ায়।।
আমেরিকান ড্রীম; সে যেন দিল্লীকা লাড্ডু!
স্বপ্নাবিষট, মোহাছছন্ন, অসংখ্য
মানুষ
চলেছে ছুটে, দিনে, রাতে, নিদ্রায় জাগরনে
অন্তহীন পথ চলা, শুধু চলা আর চলা।।
কি দূর্দ্দান্ত সে ছোটারে বাবা, ছুটছি কোথায়
দেখবার ও সময় নেই কারো।
হুমড়ি খেয়ে যে পড়ল পেছনে
পায়ের তলায় তাকে মাড়িয়ে চলা, অনির্বার।।
চোখে ঘুম নেমে আসে তবু নেই
ক্লান্তির অবকাশ
আছে এনার্জি বুস্টার, ওয়ান শট, স্বল্প কালিন।
কিছুই চিরন্তন নয় যে এখানে, স্বামি-স্ত্রী, বন্ধু, পিতা-পুত্র
সত্য শুধু বৃদ্ধাশ্রম, জীবনের শেষ অঙ্গীকার।।
এরপর একদিন শুধু অন্ধকার, চারিদিকে আলো
নিরন্তর জীবনের খেলা, অস্থিরতা, উন্মত্ত সঙ্গীত,
তারি মাঝে নামে নিকষ কালো অন্ধকার,
শেষ না হতেই শেষ হয় জীবনের খেলা।।
প্রশ্নটা থেকেই যায়, শুধু এই ছিল লেখা?
এরই তরে এতকিছু, বিদ্বেষ? হানাহানি, হিঁসা?
কর্কশ রুঢ় শব্দে জীবনটা বিষিয়ে তোলা?
হিসেবের খাতা শুধুই গরমিলে মেলানো?
আজ প্রদোষকাল, নিস্তেজ দুটি আঁখি শুধায় মৃদু স্বরে,
কোথায় হারাল জীবনের এতটি বছর?
কোথায় হারাল সেই দম্ভ? অসহায় ক্রন্দসির অশ্রুজল
ভ্রূক্ষেপে অবহেলায় পদ দলার
সেই ক্ষণ?
শেষ অন্ধকার নেমে আসার আগে মনে হয়
যদি বলে যেতে পারতাম, “ক্ষমা করো”।
অন্তহীন তিক্ততা যদি পারতাম মুছে দিতে
স্নেহে, মমতায়
শুধু যদি জানতাম কোথায় জীবনের শেষ
রেখা টানা,
বিধাতার কাছে তাই গুঢ় অভিমান
শেষ অন্ধকার নেমে আসার আগে।।
When my mother was alive, I did not
always think of her in my daily life, there was a lot to do, time was short,
and distractions too many. Leaving home at the age of sixteen I did not see her
again until twenty-four, a long gap, yet the reunion was unremarkable, as if I
was seeing her only after a week or so, such was her personality.